কিসমিস হলো শুকনো আঙুর, যা মিষ্টি ও পুষ্টিকর এবং বিভিন্ন খাবার (যেমন সেমাই, পায়েশ) ও স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়া হয়; এতে প্রচুর আয়রন, পটাশিয়াম, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা রক্তশূন্যতা দূর করতে, হজমশক্তি বাড়াতে, শক্তি যোগাতে ও ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে, বিশেষ করে ভিজিয়ে খেলে উপকারিতা বাড়ে।

কিসমিসের উপকারিতা

1. রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ: আয়রন থাকায় লোহিত রক্তকণিকা বাড়াতে সাহায্য করে।
2. হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য: এতে থাকা ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
3. শক্তি: প্রাকৃতিক চিনি (গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ) দ্রুত শক্তি জোগায়।
4. হাড়ের স্বাস্থ্য: ক্যালসিয়াম ও বোরন হাড় ও দাঁতকে মজবুত রাখে।
5. ত্বক ও চুল:
6. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের বার্ধক্য কমায় এবং ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে
7. ।
8. হার্ট ও রক্তচাপ: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক।

ব্যবহার ও খাওয়ার নিয়ম

1. সরাসরি খাওয়া: স্ন্যাকস হিসেবে বা রান্নায় ব্যবহার করা যায়।
2. ভেজানো: রাতে ১০-১৫টি কিসমিস ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়, কারণ এতে ফাইবার বাড়ে ও রক্ত পরিষ্কার হয়।
3. কিসমিস ভেজানো পানি: এই পানি পান করলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে ও হজমশক্তি বাড়ে।

পুষ্টি উপাদান (প্রতি ১০০ গ্রাম):

1. ক্যালোরি: প্রায় ২৯৯ kcal।
2. ভিটামিন: B6।
3. খনিজ: আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার, বোরন।

কিসমিস সোনালি, গাঢ় বাদামী বা কালচে বিভিন্ন রঙের হয়, যা শুকানোর পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে।